ঢাকামঙ্গলবার , ২ ডিসেম্বর ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. অপরাধ
  3. সারা বাংলা

থানা পুলিশের মনোবল দূর্বল করতে কাজ করছে বিভিন্ন চক্র,

প্রতিবেদক
স্টাফ রিপোর্টার
২৬ অক্টোবর ২০২৫

Link Copied!

আলোকিত গোয়াইনঘাট :সিলেটের অত্যন্ত সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ আর পর্যটন স্পট। জাফলং, বিসনাকান্দি, পান্তুমাই, রাতারগুল সারা দেশের জনপ্ৰিয় পর্যটন স্পট। উপজেলার সীমান্তঘেষা চারটি ইউনিয়নে দেওয়া হয় থানা পুলিশের চৌকস কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। সীমান্তে অবৈধ কোন জিনিস প্রবেশ রোধে প্রধান দায়িত্ব বিজিবির। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে কোন কোন সময় দেশে প্রবেশ করে বিভিন্ন পন্য। এগুলো রুখতে থানা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে থাকে। বিগত জুলাই আগষ্ট গন অভ্যুত্থানের ফলে দেশের ন্যায় উপজেলা জুড়ে হযবরল অবস্থা তৈরি হলে তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েল আহমেদ গোয়াইনঘাট ব্রীজে একটি চেকপোষ্ট বসান। এতে এপথ দিয়ে আসা সকল যানবাহনে তল্লাশি করে চেকপোষ্ট। অনুসন্ধানে জানা যায় বিগত আওয়ামীলীগ আমলে গোয়াইনঘাটে ব্যাপকভাবে ভারতীয় পন্য প্রবেশ করলে তা নিয়ন্ত্রণ করতেন সরকারী দলের নেতা কর্মী, বখরা পেতেন জেলা ও উপজেলার বড় বড় নেতা ও সিলেটের কিছু ভুঁইফোড় সাংবাদিক।কিন্তু পাঁচ তারিখ পরবর্তী এসবের মধ্যে এসেছে পরিবর্তন পন্য প্রবেশ বন্ধ রয়েছে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেক সময় পন্য প্রবেশের চেষ্টা করেন চোরাচালানীরা। বিগত সরকারের আমলে সীমান্তের ভারতীয় পণ্যের নিয়ন্ত্রণ করতেন সরকার দলের দু-চারজন নেতা, এতে করে সিলেট শহরের কতিপয় সাংবাদিকদের সাপ্তাহ ভিত্তিক বখরা দিতেন, এতে অনেক ভুঁইফোড় হয়ে উঠেন গোয়াইনঘাট মুখী, থানা পুলিশের দহরম মহরম আর বিট ভিত্তিক বাটোয়ারা তাদেরকে সীমান্ত মুখী করেছে। সেইসময় গোয়াইনঘাটে গড়ে প্রতিদিন ঢুকত পাঁচ সাত কোটি টাকার মালামাল, এতে সিলেটের কতিপয় লোভীদের দেওয়া হত সাপ্তাহিক পাঁচ হাজার টাকা করে, কিন্তু বর্তমানে বর্ডার ব্যবসা মন্দা পড়ার কারনে ভুঁইফোড়দের সাপ্তাহিক বখরা দেওয়া হয় না, এতে করে কতিপয়রা থানা পুলিশের বিভিন্ন বিট কে টার্গেট করে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট ম্যানেজমেন্টদের প্ররোচনায় সাপ্তাহ না পেরুতেই শুরু করেন হোয়ারসাপ কল ও মেসেজ, এমন মেসেজের স্কীন শর্ট এসেছে রিপোর্টারের হাতে। সাম্প্ৰতিক বদলিকৃত এক বিট অফিসার জানান সিলেট থেকে অনেকেই ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সাপ্তাহিক সম্মানি চান, এতে আমরা বিব্রত। এমনকি সম্মানী না দিলে উল্টা পাল্টা নিউজ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল দূর্বল করার চেষ্টা করা হয়। সাম্প্ৰতিক কালে ঘনঘন গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের পশ্চিম জাফলং, পূর্ব জাফলং ও বিসনাকান্দি ইউনিয়নের বিটের পরিবর্তন হয়েছে।

পুলিশ সুত্র জানায় দফায় দফায় থানার বিভিন্ন বিট পরিবর্তনের ফলে পুলিশি কার্যক্রমে অনেকটা ব্যাঘাত ঘটে, মামলার জটিলতা বেড়ে যায়।

এমনি গোয়াইনঘাট-সীমান্তবর্তী জাফলং, সোনারহাট বিসনাকান্দি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে পুলিশ । গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ নতুন যোগ হওয়ার পর থেকেই গোয়াইনঘাট থানার ওসির সাহসী নির্দেশনার মাধ্যমে অভিযানগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করছেন। মানবপাচার, চোরাচালান, অবৈধ বালু উত্তোলন এবং মাদকবিরোধী অভিযানে তাদের সমন্বিত নেতৃত্বে প্রতিদিন চলমান অভিযান ও নিরবিচ্ছিন্ন নজরদারি এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে এনেছে।

সীমান্ত এলাকা জুড়ে বার্কি শ্রমিকদের কাছ থেকে নৌকা ও পাথর সংগ্রহে শাসনব্যবস্থার কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এসআই মারুফ, এস আই জহুলাল দত্ত, এস আই মহররম আলী।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নদী ও চা বাগানের আশপাশে পরিচালিত অবৈধ বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি এবং চোরাচালান প্রতিরোধে তার নেতৃত্বে ফাঁড়ির পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এসব কার্যক্রমের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ কর্মকাণ্ডের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা জনগণ ও প্রশাসনের জন্য স্বস্তির বিষয়।

নলজুরি পান্তুমাই সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকার গরিব ও অসহায় লোকজনকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করত একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র। আগে প্রায় সময় এদের পাচারের সময় ভারতের বিএসএফ তাদের আটক করে বিজিবির হাতে দিত, পরে বিজিবি গোয়াইনঘাট থানায় সোপর্দ করত। বিজিবি বাদী হয়ে অবৈধভাবে বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দিলেও কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছিল না এই পাচার চক্রের কার্যক্রম।

অবশেষে বিটের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম এর দিকনির্দেশনায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে মাসের মধ্যে ৬/৭ জন মানবপাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হন। বর্তমানে চক্রটির অন্য সদস্যরা পুলিশের ভয়ে পলাতক রয়েছে এবং এলাকায় এখন আর একজন মানবপাচারকারীও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সীমান্ত এলাকায় স্বস্তি ও নিরাপত্তা ফিরে এসেছে।

মাসের ব্যবধানে এলাকার অপরাধের মাত্রা পুরোপুরি জিরো টলারেন্স এ না আসলেও মাদকবিরোধী কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জিত হয়েছে। প্রতিদিন নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করায় এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা। মাদকের বিরুদ্ধে এই ধারাবাহিক অভিযান এখন জাফলং এলাকায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

পুলিশ সীমান্তের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে নজরদারি চালাচ্ছে। নতুন ওসি তরিকুল ইসলামের সাহসী ও স্পষ্ট নির্দেশনার কারণে প্রতিটি অভিযান হচ্ছে সুষ্ঠু, সংগঠিত ও কার্যকর। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই য নেতৃত্বের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষ এখন নিরাপদ বোধ করছেন এবং তাদের জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।

পুলিশি নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ এবং অভিযান পরিকল্পনায় নতুন কৌশল প্রয়োগ করছেন। ওসি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্ব ও তদারকিতে এই কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাদের পেশাদারিত্ব, সততা এবং দৃঢ় মনোবল স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের মধ্যে বিশেষ আস্থা ও সম্মান তৈরি করেছে।

জাফলং, সোনারহাট, বিসনাকান্দি সীমান্ত এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এক মডেল উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে থানা পুলিশ । সামাজিক আস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন

আরও পড়ুন

আগামী নির্বাচনে সিলেট ৪ আসনের মানুষ ট্রাক মার্কার পক্ষে ভোট বিপ্লব করবে : জহিরুল ইসলাম*

মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পেলেন সাংবাদিক সাইফুর তালুকদার

গোয়াইনঘাটে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ’ র উদ্বোধন ও প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত

জেলা প্রশাসকের নিকট ১৭ লাখ টাকা পাওয়ার দাবীতে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন 

আমি আপনাদের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই— – – –  আরিফুল হক চৌধুরী 

নির্বাচিত হয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী খুলে দেওয়ার আন্দোলন শুরু করতে চাই – – – – জয়নাল আবেদীন 

গোয়াইনঘাটে ব্র্যাক একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গোয়াইনঘাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা 

আত্মনির্ভরশীল সু-নাগরিক হিসেব গড়ে তুলতে কাজ করছে স্কাউট – – – – – রতন কুমার অধিকারী

সিলেট -৪, ধানের হাল ছাড়ছেননা বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন আহমেদ 

সিলেটের উন্নয়নে যা করা দরকার তাই করব – – কে এম ফারুক হোসেন

এবার কারাভোগ কারীদের বরন করে নিলেন আরিফুল হক চৌধুরী