এইচ.কে শরীফ সালেহীন:
সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট–জৈন্তাপুর–কোম্পানীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সতেরো পরগনা সালিশ সমন্বয় কমিটির মুখপাত্র জয়নাল আবেদীন-এর চালক মামুনুর রশিদ এর পার্কিং নিয়ে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে জৈনেক্য এক ব্লগারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে গত ২ নভেম্বর (রবিবার), ফতেপুর মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল চলাকালে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ ঘঠিটার দিকে মাহফিলের বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন জয়নাল আবেদীন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে সরাসরি মঞ্চের দিকে যান।
তাঁর গাড়িচালক ঐ এলাকায় অন্যান্য গাড়ির পাশে স্বাভাবিকভাবে গাড়ি পার্কিং করেন।
কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ‘আল-আমিন রাফি’ নামের এক ব্যক্তি এসে ড্রাইভারের ওপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তিনি ফেসবুকে লাইভে এসে জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে কটূ, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেন।এই ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
৬নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন,এটা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। গাড়ির ড্রাইভার আমাদের এলাকার ভদ্র ও মার্জিত মানুষ। যে ব্যক্তি এই কাজটি করেছে, সে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
একজন কলেজ শিক্ষক বলেন,আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি সমাজসেবক। শিক্ষা, ধর্ম ও মানবসেবায় তাঁর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই একটি গোষ্ঠী তাঁর উত্থান রুখতে অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে।”
ফতেপুর বাজারের মার্কেটের মালিক মাছুম আহমদ বলেন,গাড়ি পার্কিং নিয়ে কোনো ধরণের সমস্যা হয়নি। ড্রাইভার ভদ্রভাবে গাড়ি রেখেছিলেন। হঠাৎ আল আমিন নামের এক ব্যক্তি এসে অযথা ঝগড়া বাধান। আমরা প্রথম থেকেই বুঝেছি—এটা সাজানো নাটক আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৬নং ফতেপুর ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজ মিছবাহউদ্দিন বলেন,জয়নাল সাহেব দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকায় শিক্ষা, ধর্ম, উন্নয়ন ও মানবসেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু কুচক্রী মহল অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবে না।
ফেসবুক ও স্থানীয় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বাজার, মসজিদ ও শিক্ষাঙ্গনে এখন একটাই আলোচনা আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন।
উপজেলা জামায়াত নেতা ডাক্তার আজিজুর রহমান বলেন আল আমিন রাফি ব্যক্তিটি আওয়ামীলীগ শাষনামলে আওয়ামীলীগ এর একনিষ্ঠ কর্মী ছিলো, বর্তমানে সেইফটির জন্য জমিয়তের পতাকাতলে সমবেত হতে চায়, সে জমিয়ত নয় বরং একজন বড় মাপের ডেভিল, তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
অভিযুক্ত রাফির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।