Oplus_131072
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় সিলেট – ৪ আসনের প্রার্থীরা জোরেশোরে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন।
প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনেও দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আসনে বিএনপির অন্তত ৮ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মী, সাধারণ ভোটার এবং সুধীজনদের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন হেলাল উদ্দিন আহমদ।
এই আসনে মনোনয়ন যুদ্ধে এগিয়ে আছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি প্রয়াত দিলদার হোসেন সেলিমের সহধর্মিণী এডভোকেট জেবুন্নাহার সেলিম, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হেলাল উদ্দিন আহমদ।
এর মধ্যে তরুন ও ক্লীন ইমেইজের প্রার্থী হিসাবে তুমুল আলোচনায় জেলা বিএনপির উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিন আহমদ। বিএনপি হামলা মামলার শিকার, তখন জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগন্জের নেতাকর্মীদের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তরুন বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
দলের নেতা কর্মীদের জন্য সব সময় সহযোগীতার হাত প্রসারিত করেছেন। দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছেন অগ্রভাবে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের বহর গ্রামের কৃতি সন্তান প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম হাজী তেরা মিয়া বতন এর সুযোগ্য উত্তরসূরী হেলাল উদ্দিন আহমদ
প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় প্রাণ চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট আমলে হামলা মামলা সহ সকল বিষয় মাথায় রেখে জেলা বিএনপির সাথে সমন্বয় করে তিন উপজেলার নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।
গোয়াইনঘাট এলাকাঘুরে জানা যায়, স্হানীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে
সিলেট জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা হেলাল আহমদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
সুখ দূঃখের অংশীদার হিসেবে তার নাম বেশ জোরালো ভাবে মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান,যুক্তরাজ্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন হেলাল উদ্দিন আহমদ গ্রীন সিগনাল পেয়ে দেশে ফিরে বেশ কিছু দিন থেকে সর্ব মহলে যোগাযোগ, মতবিনিময় ও সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করছেন। গোয়াইনঘাট,জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ তিন
উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মী ও জনসাধারণে হেলাল উদ্দিন আহমেদ নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
আসন্ন নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও বিএনপি অংশগ্রহণ করলে হেলাল উদ্দিন আহমদই দলীয় মনোনয়ন পাবেন।
এই আসনে বিএনপির সাবেক জনপ্রিয় এমপি মরহুম দিলদার হোসেন সেলিম এর পরলোক গমনের মধ্য দিয়ে আসনটি শূন্য করেছেন। ফলে এই আসনে বিএনপির নেতৃত্ব শূন্যতা পূরণে হেলাল উদ্দিন আহমেদ এগিয়ে আসায় আমজনতার মাঝে বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হেলাল উদ্দিন আহমদের পিতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সালুটিকর বহর গ্রামের মরহুম তেরা মিয়া বতন সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমান,সাবেক এম পি নাজিম কামরান চৌধুরী, সাবেক এমপি মরহুম খন্দকার আব্দুল মালিক ও মরহুম দিলদার হোসেন সেলিম এমপি’র খুব ঘনিষ্ঠ ও আস্থাবাজন ছিলেন। মরহুম বতন চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাগদল থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে আমৃত্যু বিএনপির আন্দোলন করেছেন। এ সুবাদে হেলাল উদ্দিন আহমেদ পারিবারিক ভাবেই বিএনপি আদর্শে গড়ে উঠা এক একনিষ্ঠ কর্মী।
সুত্র জানায়, হেলাল উদ্দিন আহমেদ লন্ডনে একজন সফল ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন। তরুণ, স্মার্ট, সর্বদা হাস্যজ্বল, ও মিষ্টভাসী প্রকৃতির এই সমাজ সেবী ব জনসেবায় এগিয়ে আসায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ স্বাগত জানাচ্ছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির একাধিক সুত্র জানায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুন-প্রতিষ্ঠা ও সরকার পতনের আন্দোলনে হেলাল উদ্দিন আহমদ এর ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার।
গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদল নেতা এনামুল হক বলেন,দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা প্রত্যেকেই দলের বার্তা ও নিজের ইশতেহার, প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন। সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাংগঠনিক নানা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছেন। এদিক থেকে চমক দেখাতে পারেন সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিন আহমদ। তিনি জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কেন্দ্রেীয় নেতৃবৃন্দেও সাথেও রয়েছে সুসম্পর্ক। তিনি মনে করেন দল তাঁকে মনোনয়ন দিলে সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এই আসন তিনি দলকে উপহার দিতে পারবেন।
আলাপকালে হেলাল উদ্দিন আহমদ জানান,
বিগত সরকারের আমলে মাঠে থেকে সরকারের ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাড়িয়েছি। সাধারণ মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি। এসব বিবেচনায় দল মুল্যায়ন করবে বলে তিনি মনে করেন।
গত রবিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর আমন্ত্রনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান তিনি, সেখানে দলীয় কার্যক্রম সম্পর্কে মহাসচিব কে অবহিত করেন এবং মহাসচিব মাঠে গিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
no posts found